রমযানের শিক্ষাই হলো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা

পবিত্র রমযান সকল প্রকার অন্যায় পাপাচার থেকে মুক্ত থাকার মাস। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মাস। অন্যায় প্রতিহত করার মাস। সংযমের মাস। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্য যে এই পবিত্র রমযান মাসে সরকার অন্যায়ের উৎসবে মেতেছে। পাখির মতো গুলী করে মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছে। দেশ এখন হন্তারক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। রমযান থেকে শিক্ষা নিয়ে সকল অন্যায়কে পরাজিত করতে ও কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ জার্নালিষ্ট ওয়েলফেয়ার ফোরাম (বিজেডব্লিউএফ) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বক্তারা এসব কথা বলেন। দৈনিক নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজে এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ, বিএফইউজের মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক নেতা ইলিয়াস খান, দিগন্ত টিভির উপ-নির্বাহী পরিচালক মজিবুর রহমান মঞ্জু, সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সহকারী-সম্পাদক এডভোকেট সাইফুর রহমান। এ ছাড়া রমযানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন প্রখ্যাত আলেম ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী।
মাহমুদুর রহমান বলেন, রমযান মাস অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার মাস। কিন্তু বর্তমানে দেশে অন্যায়ের উৎসব চলছে। মাদক বিরোধী অভিযানের নামে পাখির মতো মানুষকে গুলী করে হত্যা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ বর্তমানে হন্তারক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। রমযান থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষ হত্যাকারী এ ফ্যাসিবাদি অবৈধ্য সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
রহুল আমিন গাজী বলেন, পবিত্র রমযান থেকে শিক্ষা নিয়ে সকল অন্যায় অবিচার প্রতিহত করতে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। আর রমযানের পর কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে এ ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এটাই হবে রমযানের প্রকৃত শিক্ষা।
শওকত মাহমুদ বলেন, পবিত্র রমযান মাসে সকল পাপাচার থেকে রক্ষা করতে মহান আল্লাহ বড় বড় শয়তানদের শিকলে বেধে রাখেন। কিন্তু বাংলাদেশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে এখানকার শয়তানদের বেধে রাখা হয়নি। এ কারণে বড় বড় শয়তান দ্বারা পরিচালিত হয়ে অন্য শয়তানরা নির্বিচারে গুলী করে মানুষ হত্যা করছে। সরকার পত্রিকা বন্ধ করে মানুষের মুখও বন্ধ করতে চাই। সব দরজা বন্ধ করেও শেষ রক্ষা কোনোকালে হয়নি হবেও না।
খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, রমযান মাসে রোজা রেখে যে অন্যায় কাজ পরিহার করতে পারলো না তাদের রোজা থাকা, না থাকা সমান। কেননা রমযান কুরআন নাজিলের মাস। আর কুরআন নাজিল হয়েছে ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্য করতে। আর রমযান মাস হলো অন্যায় জ্বালিয়ে দেয়ার মাস। অন্যায় থেকে রক্ষা করার মাস। জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের মাস।
কুরআনের শিক্ষা ধারণ করতে না পারার কারণে আজ আমরা অন্যায় কাজ করতে দ্বিধা করছি না। পবিত্র কুরআনের পথই হলো সঠিক পথ। কুরআনই পারে সকল সমস্যার সমাধান দিতে। আমাদের সকলের উচিত পবিত্র কুরআনের আলোকে জীবন গড়ে তুলে নিজেদের জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করা।